এক পা নিয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে হানুয়ার গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমান (৬৬)। দীর্ঘ্ ৩০ বছর পরে কঠিন রোগে এক পা হারিয়ে জীবিকার তাগিদে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে ।এই পুঙ্গুত্ব নিয়ে ভিক্ষা করার কথা , তিনি ভিক্ষা পছন্দ করেন , তাই প্রতিদিন সকালে ইন্জিন ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নামে । কখনো খালিয়া আবার রাজগঞ্জ বাজারে । একটি কেরেস্ট নিয়ে এক পায়ে ভর করে ভ্যান চালাতে দেখা যায়।তার এই ভ্যান চালানো দেখে অনেকে হতবাক হয়ে প্রসংসা করে।সে ব্যাক্তি এই পুঙ্গুত্ব নিয়ে ভিক্ষা না করে ভ্যান চালিয়ে কাহারো কাছে হাত পাতে না । তার সংসারে এখন তিন ছেলে মোট ছয় জন।এ সংসারের বেশির ভাগ বোঝা তার ঘাড়ে।সরে জমিনে গেলে তার কাছ থেকে জানা যাই জন্মের পর সে সুস্থ সবল মানুষ ছিল ৩০ বছর বয়সে তার পায়ে একটি ক্ষত হয় , আর সেই ক্ষত থেকে গ্যাংগ্রিল রোগের সৃষ্টি হয়।ওই রোগে শেষ পর্য্ন্ত ডাক্তারের কথা মত তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়।পা হারিয়ে পুঙ্গুত্ব নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে ফুটপাতে বসে ঝালাই কাজ শুরু করে সে । তত কালিন ল্যাপ ,হারিকেন ,টিনের থালা ,হাড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন সমগ্রী ছিদ্র হয়ে গেলে সেটা মেরামত করে সংসার চালাত।আধুনিক যুগে এসে পুর্বের সমগ্রী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় সে কর্ম্হীন হয়ে পড়ে তাতে অভাব অনাটনে দিন পার করতে থাকে ।সে পরের কাছে হাত না পেতে বেছে নেয় ভ্যান চালানো পথ।সে ধারদিনা করে একটি ইন্জিন ভ্যান কিনে চালাতে শুরু করে।যদিও তার একটি পা নেই একপায়ে ভর করে কেরেস্ট এর সাহায্যে ভ্যানের সিটে ওঠা নামা করে । সে মানুষ ছাড়া ভ্যানে অন্য কিছু তোলেন না।এবং বেশী দুরে কাঁচা ভাঙ্গা রাস্তায় ভুলেও যান না। প্রতিদিন সকালে তাকে রাজগঞ্জ বাজার থেকে খালিয়া মোড় পর্য্ন্ত ভ্যান চালাতে দেখা যায় এই প্রতিবন্ধি ছিদ্দিকুর রহমানকে । এই পুঙ্গুত্ব নিয়ে ভিক্ষা করার কথা ,কিস্তু তিনি দীর্ঘ্ ৩৫ বছর পুঙ্গুত্ব নিয়ে জীবনের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে।সরে জমিনে গেলে তার কাছ থেকে জানা যায় সে মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার হানুয়ার গ্রামে বাড়ি।তার পিতার নাম মৃত সৈয়দ আলী। বর্তমান তার তিন ছেলে । বড় ছেলে ঢাকা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্বাবদ্যালয়ে চাকরী করেন,মেঝে ছেলে একটি এনজিওতে কাজ করেন , ছোট ছেলে এস এসসি পরিক্ষাথী। এক প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান এ প্রতিনিধীকে জানান ছেলেরা আমাকে দেখাশোনা করলে আমাকে ভ্যান চালাতে হত না ,আমি এ পঙ্গুত্ব নিয়ে ছেলেদের বড় করেছি লেখাপড়া শেখাইছি।পঙ্গু অবস্থায় আমার এখনো ভ্যান চালাতে হচ্ছে । সরকার আমাকে মাসে ৭ শত টাকা দেয় তাতে আমি আমার পরিবার ছোট ছেলে নিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালাই ।আমার গাড়ীর ব্যাটারী নষ্ট হলে সময় মত কিনতে পারি না । বর্ত্ মান আমার গাড়ীর বেটারী কিনতে হবে।টাকার অবাবে কিনতে পারছি না । আমি হৃদয়বান ব্যাক্তি বা সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থ্না করছি।