শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
Logo
শিরোনাম:
সালথায় ৬শ’ ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার মাটিরাংগা উপজেলায় তাইন্দং টু মাটিরাংগা রাস্তার বেহাল দশা, যান চলাচলে অযোগ্য মাটিরাংগা উপজেলায় তাইন্দং টু মাটিরাংগা রাস্তার বেহাল দশা, যান চলাচলে অযোগ্য মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার তারুণ্য সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর বর্ষপূর্তি ও সেরা স্বেচ্ছাসেবক সম্মাননা ২০২২ সমপন্ন।

কবিরাজি চিকিৎসার সময় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীকে ধর্ষণ-

রিপোর্টার
  • পোস্ট করা হয়েছে সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারীর জলঢাকায় কবিরাজি চিকিৎসার সময় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতনের মামলায় মিজানুর রহমান (৫০) ও তার ছেলে মবিলুল রহমানকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা উপজেলার বগুলাগাড়ি ব্রিজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার কারণে কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমানের। এক পর্যায়ে কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে বশ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে একাধিক শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর রহমান। এরপর ওই নারী বিয়ের কথা বললে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও নির্যাতন করেন তিনি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পরলে ভাড়া বাসায় যাওয়া ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মিজানুর রহমান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার বার যোগাযোগ করেও কথিত স্বামী মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে তার বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। এসময় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির বাইরে টেনে এনে কবিরাজের ছেলে মবিলুর রহমান ভুক্তভোগী নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী নারী জ্ঞান হারালে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হলে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। ওই মামলায় কবিরাজ মিজানুর ও তার ছেলেকে আটক করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ভিকটিম রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখান থেকে ফিরে এলে তাকে আদালতে জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কবিরাজি চিকিৎসার সময় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীকে ধর্ষণ-

রিপোর্টার
  • পোস্ট করা হয়েছে সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারীর জলঢাকায় কবিরাজি চিকিৎসার সময় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতনের মামলায় মিজানুর রহমান (৫০) ও তার ছেলে মবিলুল রহমানকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা উপজেলার বগুলাগাড়ি ব্রিজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার কারণে কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমানের। এক পর্যায়ে কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে বশ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে একাধিক শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর রহমান। এরপর ওই নারী বিয়ের কথা বললে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও নির্যাতন করেন তিনি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পরলে ভাড়া বাসায় যাওয়া ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মিজানুর রহমান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার বার যোগাযোগ করেও কথিত স্বামী মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে তার বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। এসময় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির বাইরে টেনে এনে কবিরাজের ছেলে মবিলুর রহমান ভুক্তভোগী নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী নারী জ্ঞান হারালে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হলে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। ওই মামলায় কবিরাজ মিজানুর ও তার ছেলেকে আটক করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ভিকটিম রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখান থেকে ফিরে এলে তাকে আদালতে জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ

© All rights reserved © 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Popular IT Club
Popularitclub_NewsPortal