নিউজ ডেক্সঃ
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ যাত্রাশিল্পে বরাদ্দের অর্থ নিয়ে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প মালিক সমিতি। যাত্রাপালা নির্দেশক (পরিচালক) ও নিবন্ধনপ্রাপ্ত দল মালিক এই দুই ক্যাটাগরিতে অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ক্ষতিগ্রস্থ যাত্রাশিল্পে অনুদান ও অর্থ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও বাস্তবে তা ফলপ্রসূ হচ্ছেনা। মঙ্গলবার সকালে যশোরের মণিরামপুর প্রেসকাবে এসব অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন নয়ন। এ সময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, জাতীয় যাত্রানীতিমালা কমিটির সদস্য, যাত্রাদল মালিককে পালা নির্দেশক দেখিয়েসহ একদিনও যাত্রা অভিনয় করেননি-এমনকি তাদের পূর্নাঙ্গ যাত্রাদল নেই, বছরে ২টির বেশি যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করেনি, তাদেরকে যাত্রাপালা নির্দেশ দেখিয়ে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। অবিলম্বে বরাদ্দ পুনঃবিবেচনা করে সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জানান, ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া ১০ জন যাত্রাপালা নির্দেশক এবং ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া নিবন্ধনপ্রাপ্ত ৭৯ দল মালিকদের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উভয় গ্রæপকে যাত্রাপালা মঞ্চায়ন করতে হবে। কিন্তু যাত্রা মঞ্চায়ন করতে মহড়া, ডেকোরেশনসহ শিল্পী কুশলীদের বেতনসহ অন্যান্য খাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে। অথচ যাত্রাদল না করেও যাদেরকে যাত্রাপালা নির্দেশক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেবল এস এম শফি ছাড়া সবাই দল মালিক। আবার এদের মধ্যে এমন পালা নির্দেশক নির্বাচন করা হয়েছে যারা কখনই যাত্রা অভিনয় কিংবা পালা পরিচালনা করেন নাই। পালা নির্দেশক হিসেবে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া বদরুল আলম দুলাল কখনই মঞ্চে অভিনয় করেননি। পাশাপাশি বাকি যে ৯টি যাত্রাদলকে পালা মঞ্চায়নের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারা বছরে ২টির বেশি পালা করেননি। ২ লাখ বরাদ্দ পাওয়া যাত্রাপালা নির্দেশকের মধ্যে জ্যোৎ¯œা বিশ্বাস, মিলন কান্তি দে ও তাপস সরকার এই তিন জনই জাতীয় যাত্রা নীতিমালা কমিটির সদস্য। এছাড়া এদের মধ্যে ৮টি দল কখনই অর্থলগ্নি করে পূর্নাঙ্গ যাত্রাদল গঠন করে যাত্রা অনুষ্ঠান করেননি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক স্বপন পান্ডে, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন হানিফ, কোষাধ্যক্ষ জলিল হোসেন বাবু, সাংস্কৃতি সম্পাদক সৌমেন রায়সহ সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ। নাটোর, মাগুরা, খুলনা, কুষ্টিায়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমিতির নেতৃবৃন্দ মণিরামপুর প্রেসকাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন।