নিউজ ডেস্কঃ কিশোর বয়সটা যেন এক অন্য রকম শক্তি কাজ করে শরীরে। কোন বাধা মান্তে চাই না মোন। অদৃশ্য কোন এক শক্তি যেন কাজ করে শরীরে। বান্ধুদের সাথে আড্ডা স্কুল বা কলেজ ফাকি দেওয়া এর মতো ছোট খাট অনেক দুস্টামি। আর এই দুস্টামি থেকে আস্তে আস্তে চলে যায় একটু একটু করে বিরি বা সিগারেট খাওয়া। খারাপ ছেলেদের সাথে চলা ফেরা, আর এই সময় তাই পরিবারের সব থেকে বেশি ছেলে মেয়েদের খোঁজ খবর ও যত্নশীল হওয়া উচিত।
কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ বাবা মা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে না। ছেলে মেয়েদের কোনটা দেওয়া উচিত আর কোনটা দেওয়া উচিত নয় সেটাও ও তারা যত্নশীল হয়না। ছেলে মেয়েরা কি করছে কোথায় যাচ্ছে কোন খোঁজ রাখে না। এর ফলে কিশোর বয়সের এই ছেলে মেয়েরা জরিয়ে পরে একাধিক প্রেম ও খারাপ সঙ্গে। কিশোর বয়স এক অদম্য শক্তি কাজ করে, কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক সেটা বোঝার মতো শক্তি তাদের থাকে না।
তারুণ্য ও যৌবনের চাহিদা তাদেরকে খারাপের দিকে নিতে থাকে। যার ফলে এই বয়সে ছেলারা দেখা যায় বিরি সিগারেট এর পাশা পাশি তারা ক্ষতিকর নেশাতে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।
সরে জমীনে খোঁজ নিয়ে দেখা যাই, বিরি সিগারেট বিক্রিয় করা দোকান গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যাই, সব থেকে বেশি বিরি ও সিগারেট স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা কিনে থাকে। আর বিরি সিগারেট খাওয়া থেকে শুরু করে এক সময় তারা মাদকাসক্ত হয়ে ওঠে।
আর যখনই তারা মাদকাসক্ত হয়ে ওঠে তখন তাদের মাদকের টাকার যোগানের প্রয়োজন পড়ে, ঠিক তখনই তারা বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করতে শুরু করে। এক সময় দেখা যায় তারা ঘরে ও বাইরে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। নেশার টাকার জন্য তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরে।
এই কিশোর অপরাধ ঠেকাতে আমাদের সব থেকে বেসি পারিবারিক ভাবে সচেতন হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করছি। এবং প্রশাসনের ও এই গুলি তদারকি করা প্রয়োজন আছে। কারণ আজকের শিশু বা কিশোর হোক তারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
উন্নত রাষ্ট গড়তে আমাদের পারিবারিক সামাজিক ও রাষ্টীয় ভাবে সচেতন হতে হবে। যাতে আগামী প্রজন্ম সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সৎ ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে ওঠে।