শুভ ইসলাম,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অস্ত্র মামলায় চার দুর্ধর্ষ ডাকাতকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকার পক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাবনার বেড়ার কৌটুলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে দেলোয়ার (৩৩), একই উপজেলার পেচাকোলা গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর (৬০), ঈশ্বরদীর মৃত মহিরের ছেলে খোকন (৪৫) ও বাঘাইল গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আয়নাল (৫৩)। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ডাকাতি চক্রের সদস্য। তারা পেশাদার দুর্ধর্ষ ডাকাত। তারা ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো। এ মামলায় মজনু, ইউসুফ ও নূর মোহাম্মদ নামের তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। চালক ছিলেন হাফিজুর রহমান। রাত ১২টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল এলাকায় পৌঁছলে বাস থামিয়ে দুজন যাত্রীবেশী ডাকাত উঠে ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে যাত্রীদের মালামাল ডাকাতি করতে থাকে।

এমতাবস্থায় বাসটি ভেড়ামারা রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে র‍্যাবের চারটি গাড়ি বাসটিকে ঘিরে ফেলে এবং ৫ জন ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ করা হয়। পরে তাদের কাছে থেকে বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, চার রাউন্ড গুলি, একটি ফিল্ডিং ছোরা, দুটি চাপাতি, অস্ত্র, ৭টি মোবাইল ও ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় পৃথকভাবে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আজ আদালতের বিচারক মামলার চার আসামিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হানিফ পরিবহনে ডাকাতিকালে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথকভাবে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। সেই মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চার আসামিকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।