ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ড উপজেলার তাহের হুদা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নায়েব হান্নান এবং অফিস সহকারি কাবিল সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে আদায় করছেন অতিরিক্ত টাকা। সাধারণ সহজ সরল ইউনিয়ন বাসিকে বিভিন্ন ভুল বুঝিয়ে নিজেরাই জমি খারিজ ও নাম পত্তন করছেন,যদিও এই সকল কাজের কোনোটাই করা হয় না ইউনিয়ন ভুমি অফিসে। সাধারণ জনগণের হয়রানির বিষয়ে বিভিন্ন মানুষের অভিযোগ সাপেক্ষে “দৈনিক ক্রাইম তালাশ” এর একটি অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক কাবিল প্রকাশ্যে গ্রহন করছেন ঘুষ। নাসির সেখ ৫ শতক জমির নাম পত্তন করার জন্য ভুমি অফিসে আসলে ৪,০০০ টাকা দাবি করে অফিসের অফিস সহায়ক কাবিল। এছাড়াও ঝন্টু নামে এক জন বাক্তির কাছ থেকে নাম পত্তন করার জন্য নগদ ৪,০০০ টাকা গ্রহন করেন অফিসের নায়েব হান্নান ও কাবিল যৌথভাবে। স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগগন জানাই আমরা নাম পত্তন, দাখিলা,খাজনা দিতে ভুমি অফিসে আসলে মাত্রাতিরিক্ত টাকা দিতে হয়, টাকা ছাড়া তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ নেই। যেকোনো কাজে তাহেরহুদা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে গেলেই দিতে হয় টাকা। টাকা না দিলে কারোর সাথে কথাও বলেন না এই ভুমি অফিসের নায়েব ও অফিস সহকারী। তাহেরহুদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে কথা হয় হরিনাকুন্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি),মোঃ তানভির হোসেন এর সাথে তিনি জানান জমি খারিজনবা নাম পত্তনের সামান্য কিছু কাজ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে থাকে বাকি কাজ করতে হয় এসিল্যান্ড অফিসে সরকারি ফি এর বাইরে অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায় করার কোনো সুযোগ নেই,যদি এই ধরনের কোনো অভিযোগ থাকে তবে অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ এই অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করে বলেন, আমরা সাধারণ জনগণ অনেক কিছুই বুঝি না, কিন্তু ভুমি অফিসে কোনো পরামর্শ বা কাজে গেলে অনেকটা ডাক্তার এর ফিস এর মতো দিতে হয় টাকা, এই অনিয়ম দুর্নীতি হাত থেকে পরিত্রাণ চাই সকলেই।