মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন(হাটহাজারী প্রতিনিধি)
দেশের বেকার যুবসমাজকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করছে “বি এলার্ট সিকিউরিটি সার্ভিস’। ঢাকার উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজারস্থ হাসান মাহমুদ শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় তাঁদের অফিস। ভুক্তভোগী প্রতারণার স্বীকার এক যুবক জানান, তার বেকারত্ব দূর করার মধ্য দিয়ে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য চাকরি খোঁজলে বি এলার্ট সিকিউরিটি সার্ভিস নামের ঐ প্রতারণা প্রতিষ্ঠানের এক মার্কেটিং অফিসার তাকে আকর্ষণীয় বেতনে,সহজ শর্তে সিকিউরিটি সুপারভাইজারের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে বলেন। চাকরিপ্রার্থী ঐ বেকার যুবক সেই কথার উপর বিশ্বাস করে রওয়ানা হন সুদূর ঢাকায়। অসহায় মা তার সন্তানের চাকরির আশায় নিজের কানের দূল বন্ধক দিয়ে ৫০০০/- নিয়ে সেই টাকা দিয়ে ছেলেকে পাঠান ঢাকায়। তারপর এসে দেখে কোম্পানির ঐ মার্কেটিং অফিসারের কথার সাথে কাজের কোনো মিল নেই। রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫০০/- আর এক মাসের খাবার খরচ বাবদ ৩০০০/- টাকা নিয়ে তাকে সরাসরি কাজ না দিয়ে আরেকজনের কাছে রেফার করেন নতুনবাজার বটগাছ মসজিদ সংলগ্ন আরেকটি অফিসে। সেখানে আসার পর আবার টাকা চাওয়া শুরু। ফরম পূরণ ফিঃ, বুয়ার রান্না ফিঃ, খাবার আনা নেওয়ার টেক কেয়ার ফি বলেই ৩৫০টাকা হাতিয়ে নেন আবারো। তারপর বলে আজকে খাবার দেওয়া হবে না। বাইরে খেয়ে নইয়েন কালকে থেকে৷ আবার বলা হচ্ছে খাবারদাবার খরচ তোমরা নিজেদের। ওখানে যা টাকা দিয়ে আসছো ঐ অফিসে তার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কাজ করলে সেলারি পাবেন ১০,০০০ (দশ হাজার) প্রতিমাসে। ওখানে যা বলা হয়েছে আমরা ওসব জানিনা, জানতে চাই ও না৷ ওরা টাকার জন্য তোমাদেরকে প্রলোভন দেখিয়েছে সেটা আমরা জানি। ওভার টাইম, খাবার খরচ, সপ্তাহিক ছুটি, হাজিরা বোনাস, চিকিৎসা ভাতার কথা বললেও এখানে এসব স্বপ্নের মতো। পোস্টের কথা সহকারী সুপারভাইজার (৬-৭জন সিকিউরিটির দেখাশোনা করা) দিবে বললেও সেখানেও মিথ্যাচার। দিতে চাচ্ছে গার্ড হিসেবে। এমন আরো অসংখ্য দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যে দিয়ে দেশের অসহায় বেকার যুবসমাজকে চুষে খাচ্ছে “বি এলার্ট সিকিউরিটি সার্ভিস” নামের ঐ প্রতারক চক্র। প্রতারণার স্বীকার হওয়া ঐ বেকারগুলো আর্থিক সমস্যা আর ক্ষমতার অভাবে না পারছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার সাহস করতে, না পারছে তাঁদের উপর এত বড় জুলুম মেনে নিতে।