বিশেষ প্রতিনিধি সিলেট
সিলেট সদর উপজেলার লালপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ওবায়দুল্লাহ ইসহাক এর সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলার সহ-সভাপতি, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ জনাব সুজাত আলী রফিক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মুহম্মদ হিরন মাহমুদ,বি,এসসি ,ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, জনাব মোহাম্মদ আব্দুল জলিল তালুকদার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সিলেট সদর,সিলেট, জনাব মো.ফারুকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার,সিলেট সদর, জনাব শফিউল আলম জুয়েল, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, জনাব মোঃ সাঈফুল আজম, সদর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার, জনাব মোহাম্মদ শাহানুর আহমদ, ১নং ওয়ার্ড সদস্য জেলা পরিষদ সিলেট, জনাব বিপ্রজিৎ কুমার দেব, সহকারি কৃষি অফিসার সিলেট সদর, জনাব মোঃ হিরন মিয়া,চেয়ারম্যান ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ,জনাব আমির উদ্দিন আহমদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জনাবা হেলেনা বেগম, চেয়ারম্যান জাতীয় মহিলা সংস্থা সিলেট জেলা।জনাব মোহাম্মদ ফজলুল হক,প্রধান শিক্ষক-পুরান কালারুকা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,সিলেট, জনাব শামছুল হক হাবিবী, সভাপতি- ড. এ কে আব্দুল মোমেন ফাউন্ডেশন বাহরাইন, জনাব রাজিব দাস সচিব ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন, হাজী কুর্শিদ আহমদ সিনিয়র সহ-সভাপতি ২নং হাটখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, জনাব আব্দুল করিম মেম্বার ৪নং ওয়ার্ড, জনাব মোঃ শরীফ আলী মেম্বার ৫নং ওয়ার্ড, জনাব মন্তকা আহমদ মেম্বার ৬নং ওয়ার্ড, জনাব জৈনুদ্দিন আহমদমেম্বার ৭নং ওয়ার্ড, জনাবা হাসনা বেগম সদস্যা সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ৪,৫,ও ৬ নং ওয়ার্ড, জনাবা সাবেরা বেগম সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ড প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব সর্দার খান সাহেব-সভাপতি ৪নং ওয়ার্ড ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক জনাব আরশ আলী,পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জনাব হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক জনাব আরশ আলী -তিনি প্রধান অতিথি, সংবর্ধিত অতিথি, ও বিশেষ অতিথিদেন দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার বক্তব্যে বলেন ১৯৮৯ খ্রিঃ এই বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়, দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে এই বিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর GPA-5 সহ শতভাগ সফলতার সাথে ফলাফল অর্জন করে সমাপনী শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে ৪১৬০টিসহ ৩৬১৬০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। তাকে আজও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন।এবং বাঙালি জাতির শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার জন্য ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা এবং সেইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আজ থেকে বাংলাদেশে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না। কিন্তু পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণের সময় আমাদের বিদ্যালয়টি বাদ পরে যায়। তিনি বলেন এটা প্রমান করে যে,আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, তিনি প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের কাছে দাবী রাখেন বর্তমান সরকারের আমলে এবং আপনাদের সহযোগিতার মাধ্যমেই যেন এই বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ করা হয়। আর এই অঞ্চল অত্যন্ত নীচু অঞ্চল হওয়ায় বন্যার সময় মানুষ বিভিন্ন স্থানে ছোটে যান তাছাড়া আমার বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের সংকট রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গাছতলায়, মাঠে বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে তাই উক্ত বিদ্যালয়ে যেন একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। যাতে বন্যার সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারে এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদেরও ক্লাস নেওয়া যায়। তিনি আরো বলেন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আপনারা স্বচক্ষে দেখে আসলেন, আমাদের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা,রোগী, বৃদ্ধ বাবা,মা আশঙ্কা জনক অবস্থায় মেডিকেলের দ্বার প্রান্তে পৌছানোর আগেই মৃত্যু বরণ করতে হয়। সংবর্ধিত অতিথি- ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মো. ওবায়দুল্লাহ ইছহাক তার বক্তব্যে বলেন, দায়িত্ব গ্রহণ করে আসলাম। আমি এটা আশাকরি যে আগামী ২০২৩ সনের জানুয়ারির পূর্বেই লালপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয় করণের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমি ইতোমধ্যে আপনাদের বিদ্যালয়ে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন স্যারের স্পেশাল বরাদ্দ থেকে, ২টি টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যেই টয়লেটের কাজ শুরু হয়ে যাবে,তিনি আরো বলেন আপনাদের ভোটের দ্বারা আমি নির্বাচিত হয়েছি। তাই আমার কাজ হচ্ছে আপনাদের সেবা করা। আজ আমি দায়িত্ব গ্রহণ করে আসলাম। আর আমি আপনাদের কাছে কথা দিয়েছিলাম যে, আমি নির্বাচিত হলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং নাগরিক সনদ বিনামূল্যে সরবরাহ করবো। ইনশাআল্লাহ আজ থেকে আপনারা ফ্রিতে নিয়ে আসবেন,আমার কাজের দ্বারাই আমার পরিচয় পাবেন। প্রধান অতিথি জনাব অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক -তার বক্তব্যে বলেন আপনারা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে স্বাক্ষর করে নৌকা মার্কার মনোনয়ন পত্র দিয়েছেন। তাই ওবায়দুল্লাহ ইছহাক কে নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই সম্মান দেখিয়েছেন তাই আমি বলব এই সরকারের কাছে আপনাদের আর দাবী দাওয়ার অবকাশ রইলো বলে আমি মনে করিনা। কারণ ওবায়দুল্লাহ ইছহাক আপনাদের সন্তান। তার মাধ্যমেই আপনাদের এলকার উন্নয়ন হবে বলেই আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন।