এমরান হোসেন মজুমদার ফেনি প্রতিনিধি ।।পরশুরামের সাতকুচিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মৃত আবুল হাসেম মিয়ার বড় ছেলে আব্দুল হালিম লিখন এর স্ত্রীকে খাদিজা ইসলাম অমিকে তার মা- খাইরুন নেছা, দেবর- মোঃ রাসেল, বোন-নুর নাহার, হাছিনা ও সামছুন নাহার, বোনের স্বামী -আবুল কাশেম, ভাগিনা- মোহাম্মদ হোসেন সহ পরিবারের লোকজন কতৃক দীর্ঘ দিন যাবত যৌতুকের দাবীতে নানা ভাবে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত ০৭-০৮-২০২১ইং দুপুর ২টার সময় শারীরিক ভাবে নির্যাতনের পর সাপ দিয়ে দংশনের মাধ্যমে অমিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। গ্রাম্য ওঝার কাছে নিয়ে চিকিৎসার নাম করে চোখ বেঁধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে অমির পরিবার খবর পেয়ে রাত ১০ টার সময় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ নয়দিন চিকিৎসা শেষে অমি কিছুটা সুস্থ হন, কিন্তু বাক শক্তি হারাতে হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান মানসিক নিযাতনের ও সাপের বিষের কারণে অমি বাক শক্তি হারিয়েছেন। অমির পরিবারের জানান, প্রবাসে থাকা তার স্বামীকে অমির চিকিৎসা করানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এক টাকাও দিবে না বলে জানিয়ে দেয় লিখন। অমিকে নয়দিন পর হাসপাতাল থেকে এনে বাসায় চিকিৎসাধীন রাখা হয়। তখন তার বাবার বাড়িতে লিখনের মা, বোন, বোনের স্বামী , ভাগিনা, ভাগনি ও আরো সন্ত্রাসী নিয়ে এসে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মেয়ের মা, বোন, জেঠা বাধা দিলে তাদের মারধর, গালাগালি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও নানান হুমকি দেয়। পরে এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। অমির পরিবার তাদের নিরাপত্তা , নির্যাতন ও সন্ত্রাসী হামলার বিচার চেয়ে ফুলগাজী থানায় অভিযোগ করেন।