বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোর-খুলনার দুঃখ ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের দুঃখ লাঘবে গৃহীত ভবদহ ¯øুইচ গেট দিয়ে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন প্রকল্পটি তেমন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সেচ কার্যক্রম চালিয়ে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং ভবদহের বিলে পানি জমে থাকায় চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ অনেক কম হয়েছে। এখনও প্রায় ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। জানা যায়, যশোর-খুলনা অঞ্চলের ২৭ বিলের পানি প্রবাহের একমাত্র পথ এই ভবদহ ¯øুইচ গেট। সম্প্রতি ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত ব্যয়বহুল এ সেচ প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া ভবদহ ¯øুইচ গেটের তল দিয়ে লিকেজ (পানি টেকা নদীতে ফিরে আসা) হওয়ায় শুধুই পাম্পে পানি নিস্কাশন হচ্ছে বটে কিন্তু কার্যতঃ এর কোন সুফল দৃশ্যমান হচ্ছে না। বিষয়টি বিএডিসি কর্মকর্তারা পাউবো’র কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভবদহ তৎসংলগ্ন বিলে ফসল ফলাতে ও পানি বন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘোবে পাউবো (পানি উন্নয়ন বোর্ড) ও বিএডিসি (বাংলাদেশ কষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরের শুরুতেই এ কার্যক্রমটি শুরু করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পাউবো’কে বিএডিসি ৩০ এইচপি (হর্সপাওয়ার) পাওয়ারের ২০টি পাম্প সরবরাহ করে। যা রণাবেণে বিএডিসির ৮ জন লেবারসহ একজন উপ-প্রকৌশলী নিয়োজিত করা হয়। অতিসম্প্রতি বিএডিসি’র চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সচিব মেজবাহুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শনে আসলে লিকেজের বিষয়টি তাদের দৃষ্টি গোচর হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর যশোর সার্কিট হাউজে কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে এক সভায় পাউবোর’ নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিকেজের বিষয়টি দ্রæত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যয়বহুল এ সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পাউবো’র আবেদনের প্রেেিত সেচ পাম্প কার্যক্রম চালাতে গত ৪ জানুয়ারি ২০টি সংযোগ দেওয়া হয়। পাম্প চালাতে ৭০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার বসাতে কন্সট্রাকশন বাবদ ব্যয় হয় ৭ লাখ ৬০ হাজার এবং ট্রান্সফরমারের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ২৫ লাখ টাকা। পুরো ব্যয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পে করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এখাতে পাউবো প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন প্রায় ১৪ লাখ টাকা হারে। এছাড়া বিএডিসি’র ৮ লেবারের জন্য প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা ব্যয়সহ সেচ পাম্পে নির্বিঘেœ পানি সরবরাহে পাউবো’র আওতায় প্রায় তিন কোটি ব্যয়ে টেকা নদী খনন কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এত কর্মযজ্ঞের পরও এ সেচ কার্যক্রম এ অঞ্চলের মানুষের উপকারে আসেনি। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ভবদহ সংলগ্ন বিলগুলোতে ধানের আবাদ কমেছে। মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ভবদহ সংলগ্ন ৫টি বিলের প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ কমে গেছে।ভবদহ পানি সংগ্রাম কমিটির নেতা আব্দুল হামিদ বলেন, সম্প্রতি ভবদহ সংলগ্ন ৩০ গ্রামের মানুষের সাথে ভবদহ সমস্য নিয়ে এক সভায় উপস্থিতিদের একজনও সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবদহের পানি নিষ্কাশনে সুফল বয়ে এনে এমন কথা কেউ বলেনি। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ পাউবো কর্তৃপ। পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, লিকেজ একটু হচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধে নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোর-খুলনার দুঃখ ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের দুঃখ লাঘবে গৃহীত ভবদহ ¯øুইচ গেট দিয়ে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন প্রকল্পটি তেমন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সেচ কার্যক্রম চালিয়ে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং ভবদহের বিলে পানি জমে থাকায় চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ অনেক কম হয়েছে। এখনও প্রায় ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। জানা যায়, যশোর-খুলনা অঞ্চলের ২৭ বিলের পানি প্রবাহের একমাত্র পথ এই ভবদহ ¯øুইচ গেট। সম্প্রতি ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত ব্যয়বহুল এ সেচ প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া ভবদহ ¯øুইচ গেটের তল দিয়ে লিকেজ (পানি টেকা নদীতে ফিরে আসা) হওয়ায় শুধুই পাম্পে পানি নিস্কাশন হচ্ছে বটে কিন্তু কার্যতঃ এর কোন সুফল দৃশ্যমান হচ্ছে না। বিষয়টি বিএডিসি কর্মকর্তারা পাউবো’র কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভবদহ তৎসংলগ্ন বিলে ফসল ফলাতে ও পানি বন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘোবে পাউবো (পানি উন্নয়ন বোর্ড) ও বিএডিসি (বাংলাদেশ কষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরের শুরুতেই এ কার্যক্রমটি শুরু করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পাউবো’কে বিএডিসি ৩০ এইচপি (হর্সপাওয়ার) পাওয়ারের ২০টি পাম্প সরবরাহ করে। যা রণাবেণে বিএডিসির ৮ জন লেবারসহ একজন উপ-প্রকৌশলী নিয়োজিত করা হয়। অতিসম্প্রতি বিএডিসি’র চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সচিব মেজবাহুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শনে আসলে লিকেজের বিষয়টি তাদের দৃষ্টি গোচর হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর যশোর সার্কিট হাউজে কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে এক সভায় পাউবোর’ নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিকেজের বিষয়টি দ্রæত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যয়বহুল এ সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পাউবো’র আবেদনের প্রেেিত সেচ পাম্প কার্যক্রম চালাতে গত ৪ জানুয়ারি ২০টি সংযোগ দেওয়া হয়। পাম্প চালাতে ৭০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার বসাতে কন্সট্রাকশন বাবদ ব্যয় হয় ৭ লাখ ৬০ হাজার এবং ট্রান্সফরমারের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ২৫ লাখ টাকা। পুরো ব্যয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পে করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এখাতে পাউবো প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন প্রায় ১৪ লাখ টাকা হারে। এছাড়া বিএডিসি’র ৮ লেবারের জন্য প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা ব্যয়সহ সেচ পাম্পে নির্বিঘেœ পানি সরবরাহে পাউবো’র আওতায় প্রায় তিন কোটি ব্যয়ে টেকা নদী খনন কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এত কর্মযজ্ঞের পরও এ সেচ কার্যক্রম এ অঞ্চলের মানুষের উপকারে আসেনি। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ভবদহ সংলগ্ন বিলগুলোতে ধানের আবাদ কমেছে। মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ভবদহ সংলগ্ন ৫টি বিলের প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ কমে গেছে।ভবদহ পানি সংগ্রাম কমিটির নেতা আব্দুল হামিদ বলেন, সম্প্রতি ভবদহ সংলগ্ন ৩০ গ্রামের মানুষের সাথে ভবদহ সমস্য নিয়ে এক সভায় উপস্থিতিদের একজনও সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবদহের পানি নিষ্কাশনে সুফল বয়ে এনে এমন কথা কেউ বলেনি। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ পাউবো কর্তৃপ। পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, লিকেজ একটু হচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধে নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।