সোমবার, ২২ মে ২০২৩, ১১:০৪ অপরাহ্ন
Logo
শিরোনাম:
সালথায় ৬শ’ ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার মাটিরাংগা উপজেলায় তাইন্দং টু মাটিরাংগা রাস্তার বেহাল দশা, যান চলাচলে অযোগ্য মাটিরাংগা উপজেলায় তাইন্দং টু মাটিরাংগা রাস্তার বেহাল দশা, যান চলাচলে অযোগ্য মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার তারুণ্য সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর বর্ষপূর্তি ও সেরা স্বেচ্ছাসেবক সম্মাননা ২০২২ সমপন্ন।

মণিরামপুরে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দুষণকারী বেকারী শিল্প নির্মাণ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী

রিপোর্টার
  • পোস্ট করা হয়েছে বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১১২৯ বার পড়া হয়েছে



বিশেষ প্রতিনিধিঃ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মণিরামপুরে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দুষণকারী বেকারী শিল্প নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আবাসিক এলাকায় এমন পরিবেশ বিধ্বংসী শিল্পকারখানা নির্মাণের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন। এটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবীতে এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। জানা যায়, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম মোল্যা ওরফে কুদা’র ছেলে হাফেজ কামরুল ইসলাম ও শামরুল ইসলাম গোবিন্দপুর গ্রামে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাগোয়া জনবসতি এলাকায় প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমানের বসতবাড়ীর বিল্ডিংয়ের গা ঘেষে শাহী বেকারী নামে একটি অবৈধ বেকারী শিল্প গড়ে তুলেছেন। এই কারখানায় জ¦ালানি হিসেবে গাছের কাঠ,গাছের গুঁড়িসহ নানাবিধ পরিবেশ দূষণকারী কাঁচামাল পোড়ানো হবে বলে এলাকাবাসী জেনেছেন। যার ফলে কারখানার ধোঁয়া এবং বর্জাদিতে পরিবেশ দুষণ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসবাস করার অনুপোযোগী হয়ে পড়বে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী সচেতন মহল কারখানাটি নির্মাণ হলে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশংকা করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক বরাবর এলাকার শতাধিক ব্যক্তির গণস্বাক্ষরিত অভিযোগে এলাকাবাসী মণিরামপুর উপজেলার ১৩নং খানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের ১৫৭ নং খানপুর মৌজায় আবাসিক এলাকার মধ্যে পরিবেশ দুষণকারী বেকারী শিল্প গড়ে তোলায় স্থানীয় পরিবেশ মারাত্বক হুমকির মুখে পড়বে এই আশংকায় উক্ত কারখানাটি বন্ধে এর স্বত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বাঙ্গালিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান বলেন, আমি ও গ্রাম প্রতিবেশীরা গ্রামের নির্মল পরিবেশে শান্তির্পূণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু আমাদের গ্রামের জনৈক বাসিন্দা কামরুল ইসলাম ও তার শামরুল ইসলাম গ্রামবাসির মতামত উপেক্ষা করে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই পরিবেশ দুষণকারী একটি বেকারী আমার বসতবাড়ীর গা ঘেষে নির্মাণ করেছে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষে গত ২৫/০৫/২০২১ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক,মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ১৩ নং খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর এটি বন্ধের দাবীতে অভিযোগ দায়ের করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এটি বন্ধের কোন পদক্ষেপ পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে এমন পরিবেশ বিধ্বংসী বেকারী কারখানা আবাসিক এলাকায় নির্মাণের বৈধতা নিয়ে কথা হয় বেকারীর মালিক হাফেজ কামরুলের সাথে। তিনি জানান, আমার ভাই শামরুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছি। আবাসিক এলাকায় বেকারী নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি তদন্তে এসেছিলেন। অনুমতি পেলেই বেকারীর সামগ্রী তৈরি করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালকের সাথে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মণিরামপুরে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দুষণকারী বেকারী শিল্প নির্মাণ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী

রিপোর্টার
  • পোস্ট করা হয়েছে বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১১২৯ বার পড়া হয়েছে



বিশেষ প্রতিনিধিঃ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মণিরামপুরে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দুষণকারী বেকারী শিল্প নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আবাসিক এলাকায় এমন পরিবেশ বিধ্বংসী শিল্পকারখানা নির্মাণের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন। এটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবীতে এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। জানা যায়, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম মোল্যা ওরফে কুদা’র ছেলে হাফেজ কামরুল ইসলাম ও শামরুল ইসলাম গোবিন্দপুর গ্রামে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাগোয়া জনবসতি এলাকায় প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমানের বসতবাড়ীর বিল্ডিংয়ের গা ঘেষে শাহী বেকারী নামে একটি অবৈধ বেকারী শিল্প গড়ে তুলেছেন। এই কারখানায় জ¦ালানি হিসেবে গাছের কাঠ,গাছের গুঁড়িসহ নানাবিধ পরিবেশ দূষণকারী কাঁচামাল পোড়ানো হবে বলে এলাকাবাসী জেনেছেন। যার ফলে কারখানার ধোঁয়া এবং বর্জাদিতে পরিবেশ দুষণ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসবাস করার অনুপোযোগী হয়ে পড়বে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী সচেতন মহল কারখানাটি নির্মাণ হলে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশংকা করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক বরাবর এলাকার শতাধিক ব্যক্তির গণস্বাক্ষরিত অভিযোগে এলাকাবাসী মণিরামপুর উপজেলার ১৩নং খানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের ১৫৭ নং খানপুর মৌজায় আবাসিক এলাকার মধ্যে পরিবেশ দুষণকারী বেকারী শিল্প গড়ে তোলায় স্থানীয় পরিবেশ মারাত্বক হুমকির মুখে পড়বে এই আশংকায় উক্ত কারখানাটি বন্ধে এর স্বত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বাঙ্গালিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান বলেন, আমি ও গ্রাম প্রতিবেশীরা গ্রামের নির্মল পরিবেশে শান্তির্পূণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু আমাদের গ্রামের জনৈক বাসিন্দা কামরুল ইসলাম ও তার শামরুল ইসলাম গ্রামবাসির মতামত উপেক্ষা করে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই পরিবেশ দুষণকারী একটি বেকারী আমার বসতবাড়ীর গা ঘেষে নির্মাণ করেছে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষে গত ২৫/০৫/২০২১ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক,মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ১৩ নং খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর এটি বন্ধের দাবীতে অভিযোগ দায়ের করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এটি বন্ধের কোন পদক্ষেপ পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে এমন পরিবেশ বিধ্বংসী বেকারী কারখানা আবাসিক এলাকায় নির্মাণের বৈধতা নিয়ে কথা হয় বেকারীর মালিক হাফেজ কামরুলের সাথে। তিনি জানান, আমার ভাই শামরুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছি। আবাসিক এলাকায় বেকারী নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি তদন্তে এসেছিলেন। অনুমতি পেলেই বেকারীর সামগ্রী তৈরি করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালকের সাথে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ

© All rights reserved © 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Popular IT Club
Popularitclub_NewsPortal