নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:
‘যারা স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বঙ্গবন্ধুসহ এদেশের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো, আজ তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিপ্তি হয়েছে। ঠিক এমনি মণিরামপুরে যারা ২০১৩/১৪ সালে অগ্নি সংযোগ করে আওয়ামী প্রেমিক নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল-আজ তাদের অবস্থা কোথায় সেটা এলাকাবাসির সবাই সেটা জানে। সুতরাং সাবধান! মণিরামপুরে আর কখনও সন্ত্রাস করতে দেয়া হবে না। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করবে।’
রোববার বিকেলে উপজেলার জয়পুর গাজী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামীলীগের আয়োজনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের গর্ব। তার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল এ কথা দেশের প্রতিটি বিবেকবাণ নাগরিক স্বীকার করে। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট দেশের কিছু বিপদগামী কুলাংগারের হাতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তাইতো আগষ্ট মাস এলেই বঙ্গবন্ধুর কথা খুব বেশি মনে পড়ে।’
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ আওয়ামীলীগনেতা সন্দীপ ঘোষের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অসিত দেবনাথ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাংগঠিক সম্পাদক মঈনউদ্দিন মিঠু, সদস্য প্রবীর কুন্ডু, যশোর শহর যুবলীগের আহবায়ক মাহামুদুল হাচান মিলু, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি অনুপম মল্লিক, যুবলীগ নেতা কিশোর দাস, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা সবুজ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদাক কামাল হোসেন, মণিরামপুর আওয়ামীলীগনেতা অসিত দেবনাথ গৌর ঘোষ, তুষার কান্তি দুলু, আমাতুন নাহার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ দেবনাথ সহসভাপতি মাহাবুর রহমান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।