বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের মণিরামপুর মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কিনার মন্ডলের স্ত্রী গৃহবধু পিয়া মন্ডল ও ৩ বছরের কন্যা কথা মন্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কলেজ শিক্ষক কিনার মন্ডলকে আটক করেছে। রোববার (৮ আগস্ট) নিহত পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় ৩০৬ ধারায় মামলা করেন। মামলা নং- ১০। এই মামলায় অভিযুক্ত কিনার মন্ডলকে পুলিশ শনিবার রাতেই আটক করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেহালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের ননি মন্ডলের ছেলে প্রভাষক কিনার মন্ডল স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে কুলটিয়া এলাকায় ফাল্গুন মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্বামী কিনার মন্ডলের সাথে অন্য নারীর পরকীয়ার জের ধরে সাম্প্রতিককালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম দ্ব›দ্ব ও ঝগড়া কলহ লেগেই ছিলো। এই নিয়ে স্ত্রী পিয়া মন্ডল দিন দিন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রকারন্তে পিয়া মন্ডল স্বামী প্রতি অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন। গত শনিবার বিকেলে বিলে মাছ ধরতে যান কিনার মন্ডল। এই ফাঁকে রান্না ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে রশি জড়িয়ে কন্যা সন্তানকে নিয়ে একই রশিতে আত্মহত্যা করেন গৃহবধু পিয়া মন্ডল। ওই দিন সন্ধ্যার আগে বিল থেকে ফিরে এসে কিনার মন্ডল স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের জানালা দিয়ে তিনি স্ত্রী সন্তাানকে ঝুলে থাকতে দেখে আর্তচিৎকার দেন। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লাশ নামিয়ে আনেন। স্থানীয়দের ধারণা স্বামীর উপর অভিমান করে প্রথমে শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়ার পর পিয়া একই রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেন। পুলিশ শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং রোববার সকালে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের মণিরামপুর মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কিনার মন্ডলের স্ত্রী গৃহবধু পিয়া মন্ডল ও ৩ বছরের কন্যা কথা মন্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কলেজ শিক্ষক কিনার মন্ডলকে আটক করেছে। রোববার (৮ আগস্ট) নিহত পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় ৩০৬ ধারায় মামলা করেন। মামলা নং- ১০। এই মামলায় অভিযুক্ত কিনার মন্ডলকে পুলিশ শনিবার রাতেই আটক করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেহালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের ননি মন্ডলের ছেলে প্রভাষক কিনার মন্ডল স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে কুলটিয়া এলাকায় ফাল্গুন মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্বামী কিনার মন্ডলের সাথে অন্য নারীর পরকীয়ার জের ধরে সাম্প্রতিককালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম দ্ব›দ্ব ও ঝগড়া কলহ লেগেই ছিলো। এই নিয়ে স্ত্রী পিয়া মন্ডল দিন দিন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রকারন্তে পিয়া মন্ডল স্বামী প্রতি অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন। গত শনিবার বিকেলে বিলে মাছ ধরতে যান কিনার মন্ডল। এই ফাঁকে রান্না ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে রশি জড়িয়ে কন্যা সন্তানকে নিয়ে একই রশিতে আত্মহত্যা করেন গৃহবধু পিয়া মন্ডল। ওই দিন সন্ধ্যার আগে বিল থেকে ফিরে এসে কিনার মন্ডল স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের জানালা দিয়ে তিনি স্ত্রী সন্তাানকে ঝুলে থাকতে দেখে আর্তচিৎকার দেন। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লাশ নামিয়ে আনেন। স্থানীয়দের ধারণা স্বামীর উপর অভিমান করে প্রথমে শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়ার পর পিয়া একই রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেন। পুলিশ শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং রোববার সকালে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।