বিশেষ প্রতিনিধিঃ মণিরামপুরে অন্তঃস্বত্তা মা পিয়া মন্ডল (২২) ও তিন বছরের মেয়ে কথা মন্ডলের মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে এ হত্যাকান্ডের মূল হোতা পিয়া মন্ডলের স্বামী কণার মন্ডলের ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার স্থানীয় মশিয়াহাটি বাজারে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে। এ ঘটনার সাথে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর গৌতম মন্ডলের দিকে সন্দেহের তীর ছোঁড়া হয়েছে। এ মানববন্ধনে নিহতের স্বজনসহ অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতী, পায়রা ও মণিরামপুরের হাজারো নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করে। উপজেলার মশিয়াহাটি কলেজ গেট সংলগ্ন মণিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের দু’ধারে নিহতের স্বজন, এলাকাবাসি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পিয়া মন্ডল এবং তিন বছরের মেয়ে কথাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের পর মৃত্যুও মূখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আর এ ঘঁনার জন্য একমাত্রই দায়ি স্বামী কণার মন্ডল। মানববন্ধনে উপস্থিত হাজারো নারী-পুরুষ এ ঘটনায় স্বামী কণার মন্ডলের ফাঁসি দাবি করেন। বক্তারা আরও বলেন, একজন লম্পট প্রভাষক কণার মন্ডল অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী রেখে পরকীয়ায় মত্ত থাকে। যা জেনে যায় স্ত্রী পিয়া মন্ডল। স্বামীকে বিপথ থেকে ফেরানোর সব চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী পিয়া মন্ডল। এ নিয়ে তাদেও ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। স্বামী পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় তাকে নির্মমভাবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়েছে। মানববন্ধনে স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, যে বাড়িতে পিয়া ও কথার মৃত্যুও ঘটনা ঘটেছে ওই একই বাড়িতে একই ছাদের নীচে গৌতম মন্ডল নামের একজন পিবিআই’র (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ইনসপেক্টর ঘটনার দিন তিনি ওই বাড়িতেই ছিলেন এবং থানা পুলিশকে অবহিত না করেই মা-মেয়ের মরদেহ নামিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় গৌতম মন্ডলেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি করা হয়েছে। নিহত পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল আরও দাবি করেন, তার বোনকে প্রায় কু-প্রস্তাব দিতো ওই পুলিশ কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন পায়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বাপ্পী মন্ডল, নিস্কৃতি মন্ডল, কমলেস মন্ডল, সনাতন মন্ডল, ইউপি সদস্য সাইফুল আলম, নিহতের স্বজন শিক্ষক শীতল কান্তি মন্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ আলম প্রমূখ। এর আগে কণার মন্ডলের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী।