সোহাগ মিয়া, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগন্জের মাধবপুর উপজেলাধীন বাঘাসুরা ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের মোঃ মহারাজ মিয়ার বসতঘরে এই নৃশংসতম ঘটনাটি ঘটেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ২৩শে জুন,২০২২ রাত আনুমানিক ০৯ঃ০০ ঘটিকার দিকে কাঁঠাল বিক্রি করবে বলে কাঠাঁলগুলো দেখে আসার জন্য পাশের বাড়ির মরিয়ম বেগমের ঘর থেকে নিজের বসতঘরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ফতেহপুর গ্রামের জিলু মিয়াকে।মহারাজের কথায় কাঁঠাল দেখতে বসতঘরে প্রবেশ করাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে জিলুর জীবনে।মহারাজ মিয়া নিজের বসতঘরে ডেকে নিয়ে কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপানো শুরু করে মোঃ জিলু মিয়া(৩৫)কে। এক পর্যায়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জিলু মিয়া মাটিতে বসে পড়লে মহারাজ মিয়া হাতের কুড়াল রেখে চুরি দিয়ে জিলু মিয়ার গলা দ্বি-খন্ডিত করার জন্য কোপ বসালে সেই চুরির কোপ জিলু মিয়ার বুকে লেগে যায়। বেশি জখম হওয়ায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটে পড়ে জিলু। তাঁর সুর-চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ আসলে মহারাজ মিয়া হুমকিস্বরূপ বলে,এ ব্যাপারে যদি কারো কাছে বিচার বা মামলা মোকদ্দমা করিস তাহলে খুন,গুম,ইত্যাদি দিয়ে মেরে ফেলব।আশপাশের লোকজন জানান,আমরা যদি চিৎকার শুনে না আসতাম তাহলে জিলু মিয়াকে প্রানে মেরে পেলতো।জিলু মিয়াকে প্রথমে স্থানীয় সদর হাসপাতালে ভর্তি ও পরবর্তীতে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে মহারাজ মিয়া পলাতক রয়েছে। সংবাদকর্মীরা মহারাজ মিয়ার বাড়িতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীরা জানান,এর আগে মহারাজ মিয়ার ঘর থেকে অনেকবার দেশীয় অস্ত্র চুরি,দা,ইত্যাদি জব্দ করে ইউ/পি চেয়ারম্যানের বাড়িতে জমা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জিলু মিয়া গত ২৮শে জুন,২০২২ তারিখে
তিন(৩) জনকে বাদী করে মাধবপুর থানায় সাধারন ডাইরি করেন।