জীবনে জড়িয়ে থাকা প্রতিটি মানুষ অতিথি পাখির মতো, চিরস্থায়ী ভাবে কেউ থাকে না। সেই ছোট্ট থেকে জীবনের সব থেকে আপন মানুষ ‘মা’ চলে গেছে আমাকে একা করে, তারপর থেকে মা ছাড়া বেড়ে উঠা খুব কষ্ট হলেও কাটিয়ে উঠেছি। এই যে এতো লং টাইমের জীবন এ জীবনে আপজনের ভালোবাসা কেমন সেটা কখনো রিয়েলাইস করি নাই। প্রেমের গল্প
যারা ছিল সবাই স্বার্থ মোড়ানো কাছের মানুষ। যতক্ষণ চাহিদা পূরণ ততক্ষণ পর্যন্ত আপন ছিলাম আমি, খুব বেশি অসুস্থ হলে আমার জন্য দুহাত তুলে মোনাজাতে আমার সুস্থতা কামনা করার মানুষ নেই।
সবাই মুখে বলে আমাকে অনেক ভালোবাসে তারা কিন্তু যেদিন থেকে আমি মাকে হারিয়েছি সে দিন থেকে আমার জন্য নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষটি ছেড়ে গেছে। কিছু মানুষ বাহিরের দেশ থেকে আসে তাদের পরিবার পরিজনের কাছে, তাদের জন্য কতো শত আবেগ মাখা আয়োজন থাকে, থাকে এটা ওটা। গল্প
কিন্তু আমি অনেকটা বছর পর দেশে আসলেও আমার জন্য কেউ এয়ার পোর্টে অপেক্ষা করে না, কোন আয়োজন চলে না বাসায়। খুব করে একটা কপাল নিয়ে জন্ম নিয়েছি আমি, দেশে আসলে নিজের বাসায় আমার ঠাঁই হয় না, হয় হোটেলের দম বন্ধ করা একটা রুমে। খেতে হয় সেই নিত্য দিনের মতো হোটেলের সেফের হাতের রান্না।
এগরো বছর ভালোবেসে বিয়ে করেছি ডাক্তারকে, কিন্তু ভাগ্য বরাবরই আমার সাথে নির্মমতা করে আসছে। ঐ যে ছোট থেকে সব হারাতে হারাতে অভ্যাস হয়ে গেছে। এতোটা বছর ভালোবাসার উপহার হিসেবে পাওয়া হলো আমার থেকে সে মুক্তি চায়, যাকে জীবনের সব থেকে বেশি ভালোবাসি সে আমার থেকে চলে যেতে চায়।
তুৃমি আর এক মাস বাঁচবে” এই বাক্যটা শুনলে আমি হয়ত ভীষণ খুশি হতাম। আমার মনে পড়ত কতো কতো বছর আমি ঠিক বেঁচে নেই। কতো কতো দিন আমি প্রাণখুলে হাসি না, নিঃশ্বাস নিই না। দৈনন্দিনের সমস্যাগুলো আমার তখন বড্ড ফিকে লাগত। আসন্ন পরীক্ষায় অসফল হওয়ার ভয়, প্রিয় মানুষ হারানোর ভয়, সবকিছু তুচ্ছ লাগতো।
বাংলা মোটিভেশন
আমি হয়ত আরোও একবার বেঁচে উঠতাম। অসহ্য জীবনটা ভীষণ সুন্দর মনে হতো। চলে যাব জানলে, আমাকে অবহেলা করা মানুষটিও হয়ত আমার মায়ায় পড়ে যেত। নিজের ছোটো ছোটো স্বপ্ন পূরণ করা যেত। আমি আসলে কখনোই একশ বছর বাঁচতে চাই নি।
আমি চেয়েছিলাম অল্প কিছু বছর ভালোভাবে বাঁচতে!
বিশেষ উক্তি
একটা মানুষের সাথে কাগজে কলমে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও মনের সাথে কোন না কোন ভাবে কানেক্ট থেকে যায়, যার জন্য সারাজীবন কষ্ট ভোগ করতে হয়।
“বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া”
বিঃদ্রঃ মুক্তির জন্য মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়