নিউজ ডেক্স। মৃত ভাইয়ের মরাদেহ বাড়ীতে রেখে নির্বাচনে লড়াই করে বিজয়ী হলেন আব্দুল আলিম জিন্না।তিনি মনিরামপুর উপজেলার ৭নং খেদাপাড়া ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ছিলেন।এ নজির বিহিন ঘটনায় গোটা উপজেলার আলোচনার মুখর হয়ে উঠেছে । ওই এলাকার ভোটাররা চোখে পানি নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে নৌকা প্রতিক আব্দুল আলিম জিন্নাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলেন । জানা যায় গত ২৮শে নভেম্বর আব্দুল আলিম জিন্না ক্ষমতাসীন দলের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন , ওই ইউনিয়নে মোট প্রার্থী ছিলো ৬ জন। উল্লেখ আব্দুল আলিম জিন্না বিগত আরো ২ বার নৌকা প্রতিক পেয়েও প্রতিপক্ষ বিদ্রহী প্রার্থীর কাছে সামান্য ভোটে হেরে গিয়ে ছিলেন । সেই থেকে তিনি মাঠ ছাড়েনী ,নেমে যান সেবামুলক কাজ কর্মে,বিপাদে আপাদে ইউনিয়ন বাসীর সাথে সর্বক্ষন সময় দিতে থাকেন । সম্প্রতি গত ২৮ শে নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে গন সংযোগ করে ভোটারদের দোর গোড়ায় পেীছায় যান তিনি । মানুষের মনের কোঠাই স্থান করে নেয়। গত ২৮ শে নভেম্বর সকাল বেলা ভোট শুরু হওয়ার পুর্বে তার আপন ভাই তবিবুর রহমান মারা যান।সে দীর্ঘদিন ধরে শারিরিক ভাবে অসুস্থ ছিল , হঠাৎ মারা যাওয়াতে তার পরিবার সহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।তারপরও ভাইয়ের মৃতদেহ বারান্দায় রেখে চোখের পানি নিয়ে ভোটের মাঠে নামেন আব্দুল আলিম জিন্না।ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩৩১৬ জন। সকাল ৮টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে ভোট সংগ্রহ শেষে আব্দুল আলিম জিন্না নৌকা প্রতিক নিয়ে ৮২৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।প্রতিপক্ষ বিদ্রহী প্রার্থী এস এম আব্দুল হক আনারস ৩৫৪৪ ,বিএনপি সতন্ত্র প্রার্থী সামছুল জামান শান্ত ঘোড়া প্রতিক ৩২০০, বিএনপি আজিবার রহমান চশমা ৪৫৫ , বিএনপি নাজিম মটরসাইকেল ২৭৯ ও মিজানুর হাতপাখা ১০০৭ , ভোট পেয়েছেন। ভোটের ফলাফল পাওয়ার পর শত শত মানুষ উপস্থিত হয় আব্দুল আলিম জিন্নার বাড়িতে, রাত ৯:৩০ মিনিটে তার ভাই তবিবুর রহমানের জানাজা হয় ,জানাজা শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চেয়ারম্যান ফিরে পেয়ে হেলাঞ্চী কৃষ্ণবাটীর মানুষ শোকের ভিতরেও আনন্দে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে।সাধারণ মানুষের ভিতর যেন আনন্দেন জোয়ার বইতে দেখা যাচ্ছে । তারা বলছে অনেক কষ্টের পর বিগত ৩৫ বছর পর চেয়ারম্যান ফিরিয়ে এনেছে আব্দুল আলিম জিন্না , তাকে আমরা অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।