শাহিনুর রহমান যশোরঃ
যশোর জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে ঢাকা পড়েছে বিস্তৃত প্রকৃতি । শীতের শিশির ভেজা সকালে কুয়শার চাদরে ঘেরা এলাকার বিস্তীর্ণ প্রতিটি মাঠজুড়ে কেবল চোখে পড়ে সরিষার হলুদ ফুল। প্রন্তর জুড়ে উঁকি দিচ্ছে শীতের শিশির ভেজা সরিষা ফুলের দোল খাওয়া গাছগুলো। সরিষার সবুজ গাছের হলুদ ফুল শীতের সোনাঝরা রোদে ঝিকিমিকি করছে । এ এক অপরুপ সৌন্দর্য । যেন প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ সাজে । চারপাশের মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ । উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ ধাধাঁনো বর্ণিল সমরহ । মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ । এ অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর এক মুহূর্ত । ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁয়ে যায় সেই ফুলগুলোকে । গত কয়েক বছর পর বেশি লাভের আশায় সরিষা চাষে ঝুঁকে পরেছেন এই উপজেলার কৃষকরা । চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন শুধু ভালো ফলনের আশায় কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে । চলতি রবি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুযোর্গ হানা দিলেও বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে থাকায় বম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে । গ্রামীন জনপদের কৃষকরা এই সরিষা যথাযথ ঘরে তুলতে পারবে । এবং বিক্রয় মূল্য ভালো পেলে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে। জানা গেছে চলতি মৌসুমে ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তা ভগিরথ চন্দ্র বলেন, এবার রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার বাম্পার ফলন হবে । এবং কৃষকরা বাড়তি মুনাফা পাবে বলেও তিনি মনে করেন ।