নিউজ ডেস্কঃ
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ইমপ্রোভাইজড এক্সক্লুসিভ ডিভাইজ বা আইইডি’র বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক জাহাঙ্গীর আলম (২৬) মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (১৫ ই অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছে। দুপুর ১টার দিকে সামরিক মর্যাদায় এই শহীদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে বেলা ১১টায় ডিমলার রানী বৃন্দারানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এসে পৌঁছায়।
জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর পর সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রতিবেশী ও স্বজনেরা। বিশেষ করে তাঁর মা গোলেনুর বেগম এবং বাবা লতিফর রহমান ও সদ্য বিবাহিত স্ত্রী শিমু আকতার মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা জান। স্বামীর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পরে শোকে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শিমু শুধু প্রিয় মানুষটির মুখটি খুঁজছিলেন। সকাল থেকেই জাহাঙ্গীরকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় জমতে থাকে শহীদ জাহাঙ্গীরের বাড়িতে। এসেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।
জাহাঙ্গীরের মা বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার ছেলে আমাকে কেন ডাকে না! সে কি আমাকে আর ডাক দেবে না! বাবা আমার জীবনে অনেক কষ্ট করেছে। এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না!
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁদের। এলাকার একজন সেনাসদস্য হারিয়ে তাঁরা শোকাহত। প্রতিবেশী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘জাহাঙ্গীর প্রান্তিক গ্রামে থেকেও আলো ছড়িয়েছে। সে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলো। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে আমাদের গর্ব হচ্ছে।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, জাহাঙ্গীর আমাদের এলাকার গর্ব। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। শহীদ জাহাঙ্গীর সড়ক নামে এই এলাকার সড়কটির নামকরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। সাড়ে ১২টায় বাড়িসংলগ্ন মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ঠা অক্টোবর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি’র বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিয়োজিত তিন বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হন। এদের মধ্যে নীলফামারীর সেনাবাহিনীর সৈনিক জাহাঙ্গীর আলম একজন।
নিউজ ডেস্কঃ
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ইমপ্রোভাইজড এক্সক্লুসিভ ডিভাইজ বা আইইডি’র বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক জাহাঙ্গীর আলম (২৬) মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (১৫ ই অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছে। দুপুর ১টার দিকে সামরিক মর্যাদায় এই শহীদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে বেলা ১১টায় ডিমলার রানী বৃন্দারানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এসে পৌঁছায়।
জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর পর সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রতিবেশী ও স্বজনেরা। বিশেষ করে তাঁর মা গোলেনুর বেগম এবং বাবা লতিফর রহমান ও সদ্য বিবাহিত স্ত্রী শিমু আকতার মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা জান। স্বামীর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পরে শোকে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শিমু শুধু প্রিয় মানুষটির মুখটি খুঁজছিলেন। সকাল থেকেই জাহাঙ্গীরকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় জমতে থাকে শহীদ জাহাঙ্গীরের বাড়িতে। এসেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।
জাহাঙ্গীরের মা বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার ছেলে আমাকে কেন ডাকে না! সে কি আমাকে আর ডাক দেবে না! বাবা আমার জীবনে অনেক কষ্ট করেছে। এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না!
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁদের। এলাকার একজন সেনাসদস্য হারিয়ে তাঁরা শোকাহত। প্রতিবেশী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘জাহাঙ্গীর প্রান্তিক গ্রামে থেকেও আলো ছড়িয়েছে। সে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলো। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে আমাদের গর্ব হচ্ছে।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, জাহাঙ্গীর আমাদের এলাকার গর্ব। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। শহীদ জাহাঙ্গীর সড়ক নামে এই এলাকার সড়কটির নামকরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। সাড়ে ১২টায় বাড়িসংলগ্ন মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ঠা অক্টোবর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি’র বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিয়োজিত তিন বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হন। এদের মধ্যে নীলফামারীর সেনাবাহিনীর সৈনিক জাহাঙ্গীর আলম একজন।