সোহাগ মিয়া হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের তিনটি উপজেলার বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে অব্যাহতভাবে বাড়ছে কালনী, কুশিয়ারা নদীর পানি। এদিকে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়ে গেছে। বাসা দোকান পাঠে পানি ডুকে গেছে। মেশিন দিয়ে সেচের মাধ্যমে দোকানের ভিতর থেকে পানি নিষ্কাশন করছেন ব্যবসায়ীরা।
কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে এরইমধ্যে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বালুর বস্তা নিয়ে নদীর বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে কোনো সময় বাঁধ ভাঙতে পারে এবং বাঁধ ভাঙলে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত দুদিনের টানা বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার কুশিয়ারা, কালনীসহ বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুশিয়ারার পানি আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে। এরইমধ্যে বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, আজমিরীগঞ্জের নিকলী ঢালা বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলারও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর, রাধাপুর, দিঘলবাগ ও দুর্গাপুর এলাকায় বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। আউশকান্দি ও দিঘলবাগ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর ও রাধাপুরে কুশিয়ারা নদীর বাঁধের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যদি কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভাঙে তবে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আমরা বালুর বস্তা দিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করছি বাঁধ রক্ষায়।
এসময় সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলার বন্যাকবলিতদের জন্য এরইমধ্যে শুকনা খাবারের প্যাকেট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে।