সোহাগ মিয়া, (মাধবপুর) হবিগন্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে স্ক্যানুতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে অল্পের জন্য ৩৬ নবজাতক নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অগ্নিকান্ডের পর হবিগন্জ পিডিবি’র জরুরি বিভাগে বার বার ফোন করা হলে ও কেউ ফোন রিসিভ করেননি। এতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আতঙ্কে চতুর্দীক ছুটাছুটি করতে গিয়ে হাসপাতালের স্টাফ সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় স্ক্যানু (নবজাতক) ওয়ার্ডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
প্রত্যকদর্শীরা জানান, হঠাৎ বিদ্যুৎ এর মেইন সুইচ ও মিটার থেকে স্ক্যানু ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভয়ে নার্স ও নবজাতকের অবিভাবকরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। হাসপাতাল থেকে বারবার ফোন করলে ও পিডিবি’র জরুরি বিভাগের কেউ কল রিসিভ করেননি। টমনকি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকপ ও ফোন দেয়া হয়। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেনি। ঘন্টাখানেক পর পিডিবি’র কর্মচারীরা হাসপাতালে আসেন। তবে তার আগেই দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। স্থানীয়রা জানান, সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে না আসলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সাক্ষী হতো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। এদিকে স্ক্যানু ওয়ার্ডে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ কথা থাকলে ও বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে নবজাতক নিয়ে এলে ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিসিভ না করে তাদেরকে সিলেট বা ঢাকা রেফার করার কথা জানা গেছে। এতে রোগীর স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, স্ক্যানুতে বিদ্যুৎ না থাকায় নবজাতক রিসিভ করা হয় নি। হবিগঞ্জ দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক জানান, ফোন পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হই। নতুবা বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতো। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জরুরী বিভাগের কেউ কেন ফোন ধরেনি জিজ্ঞেসা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি তার জানা ছিল না বলে ও জানান তিনি।