1. admin@dainiksokalerbarta.com : admin :
  2. user@dainiksokalerbarta.com : Sayka Ahmed : Sayeeka Ahmed
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

রাতে পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যা এবং সকালেই তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
  • ২২৪ বার দেখা হয়েছে

মাগুরায় জেলায় আলাদা ঘটনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবনী আক্তারের (বিসিএস ৩০তম ব্যাচ) ঝুলন্ত লাশ এবং পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়ি থেকে এডিসি লাবনী আক্তারের ওড়না পেঁচানো লাশ এবং মাগুরা পুলিশলাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, রাতে ডিউটি থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায়। তিনি দেড় মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরায় আসেন।

অন্যদিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসেন খুলনা মেট্রোপলিটনের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার লাবনী আক্তার। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত, দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। এ ছাড়া আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, খন্দকার লাবণীর বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে। তাঁর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন ভারতে চিকিৎসাধীন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে নানার বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন খন্দকার লাবণী। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

লাবণীর বাবা খন্দকার শফিকুল আজম আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকদিন ধরে তাঁদের স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। এ কারণে একে অপরকে এড়িয়ে চলছিল। স্বামী-স্ত্রীর এই দ্বন্দ্বের কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে। সে এর আগেও ১৫ দিন আগে ও সপ্তাহখানেক আগে দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।’

অন্যদিকে, কনস্টেবলের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মাহমুদুল কাজ শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর থুতনি দিয়ে গুলি ঢুকেছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনো জানা যায়নি।

মাহমুদুল হাসানের বাবা মো. এজাজুল হক খান চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই বছর চার মাস আগে আমার ছেলে পুলিশে যোগ দেয়। দেড় মাস আগে মাগুরায় আসার আগে সে খুলনা মেট্রোপলিটনে কর্মরত ছিল। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর সঙ্গে মোবাইলে আমার সর্বশেষ কথা হয়। সে জানায় যশোর রোডে ডিউটিতে আছে। তাঁর সঙ্গে স্বাভাবিক ও হাসি-ঠাট্টামূলক কথা হয়। কিন্তু কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সেটা বুঝতে পারছি না।

লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2019 Dainik Sokaler Barta
Theme Customized By BreakingNews