শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
Logo
শিরোনাম:
সালথায় ৬শ’ ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার মাটিরাংগা উপজেলায় তাইন্দং টু মাটিরাংগা রাস্তার বেহাল দশা, যান চলাচলে অযোগ্য মাটিরাংগা উপজেলায় তাইন্দং টু মাটিরাংগা রাস্তার বেহাল দশা, যান চলাচলে অযোগ্য মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান মীরসরাইয়ে হেমন্ত সাহিত্য আসরে বাংলার ষড়ঋতুর জয়গান কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় ধান খেত থেকে নবজাতকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার তারুণ্য সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর বর্ষপূর্তি ও সেরা স্বেচ্ছাসেবক সম্মাননা ২০২২ সমপন্ন।

রিপোর্টার
  • পোস্ট করা হয়েছে সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক । শেষ পর্যন্ত অবহেলা ও ভুলের খেসারত দিলেন চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক,উল্লেখ মহামারী করোনা কালিন লক ডাউনের সময় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া কর্মহীন দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য চাউল দেওয়া হয়েছিল । ওই চাউল বিতরণ না করে ইউনিয়ন পরিষদ এর হল রুমে রেখে নষ্ট করেছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিব।কি হবে চাউলের সমাধান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে  ইউনিয়ন বাসী চেয়ারম্যানকে দায়ী করছে , কিন্তু চেয়ারম্যান বলেছে ভিন্ন কথা  ,সরে জমিনে গেলে জানা যায় মনিরামপুর উপজেলার ৭ নং খেদাপাড়া ইউনিয়নে গত ৩/৪ মাস আগে  করোনা কালিন সরকার গরীব দুস্থদের দেওয়ার জন্য  চাউল ও দুধ বিতরণ না করে সেটা ইউনিয়ন কাউন্সিলের হলরুমে রেখে দিয়েছে । ওই চাউল দীর্ঘদিন থাকার পর নষ্ট হয়ে যায় । বিষয়টি জানা জানি হলে গত ৩০শে অক্টবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে ঘটনার সত্যতা পান। তারপর ওই চাউল সচিব এর দায়ীত্বে রেখে গেছেন । জানা গেছে শুধু চাউল নয় তার ভিতর শিশুদের জন্য দুধও রয়েছে যা সচিব এর রুমে ছিল । এ ঘটনায় ইউনিয়ন বাসী চেয়ারম্যানকে দায়ী করলেও চেয়ারম্যান বলছে ভিন্ন কথা তিনি বলেন গত ৩/৪ মাস পূর্বে করোনা কালিন দুস্থ গরীব অসহায় কর্মহীন মানুষের জন্য প্রধান মন্ত্রির দেওয়া ৫৫ বস্তা চাউল ‍উত্তলন করা হয় , ওই চাউল দেওয়ার জন্য আমি সচিবকে তালিকা করতে বলেছি কিন্তু তিনি আমার কথায় কর্নপাত না করে বিভিন্ন কাজের নামে আজ বয়স্ক ভাতা কাল টিকা এমন অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকেন । বার বার বলার সর্তেও তিনি আমার কথার কর্নপাত করেন না । এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান এস এম আঃ হক বলেন সচিব মৃনাল কান্তির কাছে আমি যেন জিম্মি হয়ে গেছি । সেই সাথে আমার ইউনিয়নের মানুষ তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ।সে চাউল নিয়ে যা করেছে আমার সন্দেহ হয় এর পিছনে কোন উদ্দেশ্য আছে । যে চাউল এক বছর রাখলে নষ্ঠ হওয়ার কথা নয় কেমন করে বস্তার উপরের অংশ ভিজে নষ্ট হলো । তাছাড়া দুধের কোন খবর আমি জানিনা ।তারপর শুনেছি দুধ গুলো তার রুমে রাখা হয়েছে । সে সর্বক্ষন তার রুমে তালা দিয়ে রাখে ।তার প্রয়োজন ছাড়া খোলেন না । সরে জমিনে গেলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে বোঝা যায়  চেয়ারম্যানের কথার সাথে কিছু মিল পাওয়া গেছে, ইতি পূর্বে সব কাজ সচিব নিজে থেকে করতেন  , ওই সচিব মৃনাল কান্তির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বাসীর ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে । কথা হয় গালদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে তিনি বলেন মৃনাল কান্তি নিজেকে বড় কর্মকর্তার লোক বলে পরিচয় দেন , আমি এক কাজের জন্য গেলে আমার সাথে দুর ব্যবহার করে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না ।শুধু আমার সাথে নয় প্রতিটা মানুষের সাথে দুর ব্যবহার করেন। তা ছাড়া টাকা ব্যাতীত কোন কাজ করেন না , এমন কথা চেয়ারম্যান নিজেই শিকার করেছেন। ওই ইউনিয়ন বাসী দুর্নীতিবাজ সচিবকে দ্রুত চাকরী থেকে বহিষ্কারের দাবী করছে । তা না হলে ইউনিয়ন বাসীর সাথে তার যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে ।এ দিকে চেয়ারম্যান গত ২৮শে নভেম্বর নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে হেরেছেন নৌকা প্রতিক আব্দুল আলিম জিন্নাহর কাছে।নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ক্ষমতা পাওয়ার পর কি করবেন  ওই চাউল । দুস্থ মানুষের হক নষ্ট করে ইউনিয়ন কাউন্সিলের হলরুমে পড়ে থাকা পচা চাউল ,কে দিবে ক্ষতিপুরণ  । বিগত দিনে এস এম আঃ হক বলেছিলেন আমি ওই ৫৫ বস্তা চাউল কিনে দিব,যে কথা সেই কাজ করলেন তিনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে গত ২৩শে ডিসেন্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিন, আহবাহক কমিটির সভাপতি সামছুর রহমান ,ওয়াড সভাপতি হাফিজুর রহমান ও ইউনিয়ন ট্রাক অফিসার আজারুল ইসলাম,চেয়াররম্যান এস এম আব্দুল হক ও সদ্য নির্বাচিত চেয়াররম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহর উপস্থিতে ওই চাউল বাছাই করা হয়,যে পরিমান চাউল নষ্ট হবে সম পরিমান চাউল কিনে দেবেনে তিনি।এরপর ওই চাউল প্রাপ্তীদের মাঝে বিতরন করবেন।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিপোর্টার
  • পোস্ট করা হয়েছে সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক । শেষ পর্যন্ত অবহেলা ও ভুলের খেসারত দিলেন চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক,উল্লেখ মহামারী করোনা কালিন লক ডাউনের সময় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া কর্মহীন দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য চাউল দেওয়া হয়েছিল । ওই চাউল বিতরণ না করে ইউনিয়ন পরিষদ এর হল রুমে রেখে নষ্ট করেছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিব।কি হবে চাউলের সমাধান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে  ইউনিয়ন বাসী চেয়ারম্যানকে দায়ী করছে , কিন্তু চেয়ারম্যান বলেছে ভিন্ন কথা  ,সরে জমিনে গেলে জানা যায় মনিরামপুর উপজেলার ৭ নং খেদাপাড়া ইউনিয়নে গত ৩/৪ মাস আগে  করোনা কালিন সরকার গরীব দুস্থদের দেওয়ার জন্য  চাউল ও দুধ বিতরণ না করে সেটা ইউনিয়ন কাউন্সিলের হলরুমে রেখে দিয়েছে । ওই চাউল দীর্ঘদিন থাকার পর নষ্ট হয়ে যায় । বিষয়টি জানা জানি হলে গত ৩০শে অক্টবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে ঘটনার সত্যতা পান। তারপর ওই চাউল সচিব এর দায়ীত্বে রেখে গেছেন । জানা গেছে শুধু চাউল নয় তার ভিতর শিশুদের জন্য দুধও রয়েছে যা সচিব এর রুমে ছিল । এ ঘটনায় ইউনিয়ন বাসী চেয়ারম্যানকে দায়ী করলেও চেয়ারম্যান বলছে ভিন্ন কথা তিনি বলেন গত ৩/৪ মাস পূর্বে করোনা কালিন দুস্থ গরীব অসহায় কর্মহীন মানুষের জন্য প্রধান মন্ত্রির দেওয়া ৫৫ বস্তা চাউল ‍উত্তলন করা হয় , ওই চাউল দেওয়ার জন্য আমি সচিবকে তালিকা করতে বলেছি কিন্তু তিনি আমার কথায় কর্নপাত না করে বিভিন্ন কাজের নামে আজ বয়স্ক ভাতা কাল টিকা এমন অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকেন । বার বার বলার সর্তেও তিনি আমার কথার কর্নপাত করেন না । এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান এস এম আঃ হক বলেন সচিব মৃনাল কান্তির কাছে আমি যেন জিম্মি হয়ে গেছি । সেই সাথে আমার ইউনিয়নের মানুষ তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ।সে চাউল নিয়ে যা করেছে আমার সন্দেহ হয় এর পিছনে কোন উদ্দেশ্য আছে । যে চাউল এক বছর রাখলে নষ্ঠ হওয়ার কথা নয় কেমন করে বস্তার উপরের অংশ ভিজে নষ্ট হলো । তাছাড়া দুধের কোন খবর আমি জানিনা ।তারপর শুনেছি দুধ গুলো তার রুমে রাখা হয়েছে । সে সর্বক্ষন তার রুমে তালা দিয়ে রাখে ।তার প্রয়োজন ছাড়া খোলেন না । সরে জমিনে গেলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে বোঝা যায়  চেয়ারম্যানের কথার সাথে কিছু মিল পাওয়া গেছে, ইতি পূর্বে সব কাজ সচিব নিজে থেকে করতেন  , ওই সচিব মৃনাল কান্তির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বাসীর ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে । কথা হয় গালদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে তিনি বলেন মৃনাল কান্তি নিজেকে বড় কর্মকর্তার লোক বলে পরিচয় দেন , আমি এক কাজের জন্য গেলে আমার সাথে দুর ব্যবহার করে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না ।শুধু আমার সাথে নয় প্রতিটা মানুষের সাথে দুর ব্যবহার করেন। তা ছাড়া টাকা ব্যাতীত কোন কাজ করেন না , এমন কথা চেয়ারম্যান নিজেই শিকার করেছেন। ওই ইউনিয়ন বাসী দুর্নীতিবাজ সচিবকে দ্রুত চাকরী থেকে বহিষ্কারের দাবী করছে । তা না হলে ইউনিয়ন বাসীর সাথে তার যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে ।এ দিকে চেয়ারম্যান গত ২৮শে নভেম্বর নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে হেরেছেন নৌকা প্রতিক আব্দুল আলিম জিন্নাহর কাছে।নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ক্ষমতা পাওয়ার পর কি করবেন  ওই চাউল । দুস্থ মানুষের হক নষ্ট করে ইউনিয়ন কাউন্সিলের হলরুমে পড়ে থাকা পচা চাউল ,কে দিবে ক্ষতিপুরণ  । বিগত দিনে এস এম আঃ হক বলেছিলেন আমি ওই ৫৫ বস্তা চাউল কিনে দিব,যে কথা সেই কাজ করলেন তিনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে গত ২৩শে ডিসেন্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিন, আহবাহক কমিটির সভাপতি সামছুর রহমান ,ওয়াড সভাপতি হাফিজুর রহমান ও ইউনিয়ন ট্রাক অফিসার আজারুল ইসলাম,চেয়াররম্যান এস এম আব্দুল হক ও সদ্য নির্বাচিত চেয়াররম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহর উপস্থিতে ওই চাউল বাছাই করা হয়,যে পরিমান চাউল নষ্ট হবে সম পরিমান চাউল কিনে দেবেনে তিনি।এরপর ওই চাউল প্রাপ্তীদের মাঝে বিতরন করবেন।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ

© All rights reserved © 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Popular IT Club
Popularitclub_NewsPortal